রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৬

"এইডস" সম্পর্কে নিজে জানুন অন্যকে জানান -গণসচেতনতায় প্রচারিত !?

বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবী জুড়ে এইডস আক্রান্ত
মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে ।
অন্যদিকে এ রোগের নির্মুল কার্যকরী চিকিৎসা
আজও আবিষ্কার হয়নি । কিন্তু বিজ্ঞানীরা তাদের
চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে । তাই এইডস
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাই উত্তম ।
*** এইডস কি ?
>> এইডস হচ্ছে এইচ.আই.ভি (HIV=Human
Immunodeficiency Virus) নামক ভাইরাস দ্বারা
সংক্রমিত একটি রোগ । এটি কয়েকটি উপসর্গ ও
লক্ষণের সমষ্টি । এ রোগের ফলে মানব
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে
ধীরে নষ্ট হয়ে যায় । তাই এ রোগের পরিণাম
মৃত্যু ।
*** এইচ.আই.ভি (HIV) কি ?
>> এইচ.আই.ভি একটি রেট্রো ভাইরাস । ভাইরাসটি
মানব দেহে প্রবেশ করার পর মানব দেহের
প্রতিরোধ প্রণালীর টি-হেলপার কোষে
প্রবেশ করে এবং ভিতরের জেনেটিক পদার্থকে
স্থায়ীভাবে ধ্বংস করে ফেলে । ফলে মানুষ তার
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে দিনে দিনে
দুর্বল হয়ে পড়ে ।
*** বর্তমানে বাংলাদেশ এইচ.আই.ভিতে ঝুঁকিপূর্ণ
কেন?
>> সারা বিশ্বে বর্তমানে ৩ কোটি ৩৪ লাখেরও
বেশি মানুষ এইচ.আই.ভিতে আক্রান্ত । এর মধ্যে
বাংলাদেশে এইচ.আই.ভিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩
হাজার ৬৭৪ জন, আর ঝুঁকিতে রয়েছে ১৪,৩০০ জন
(সূত্রঃ উইকিপিডিয়া) ।
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এইডস
মহামারী আকার ধারণ করেছে । তাই বাংলাদেশ
ঝুঁকিপূর্ণ ।
*** এইচ.আই.ভি কিভাবে ছড়ায়?
>> এইডস এর ভাইরাস মানুষের (রক্তে, বীর্যে
এবং বুকের দুধে) থাকে । তাই এগুলোর আদান-
প্রদানেই এইচ.আই.ভি ছড়ায় । নিম্নে এগুলো
কিভাবে ছড়ায় এবং মানুষ এইচ.আই.ভিতে কিভাবে
আক্রান্ত হয় তা দেওয়া হলো-
(১) এইচ.আই.ভি আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে দৈহিক
মিলনের ফলে ।
(২) এইচ.আই.ভি আক্রান্ত ব্যক্তির সুই সিরিঞ্জ
ব্যবহার করলে ।
(৩) এইচ.আই.ভি আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত শরীরে
গ্রহণ করলে ।
(৪) এইচ.আই.ভি আক্রান্ত মায়ের গর্ভে থাকাকালে
অথবা জন্মের সময় অথবা মায়ের বুকের দুধের
মাধ্যমেও নবজাতক এইচ.আই.ভিতে আক্রান্ত হতে
পারে ।
[বিঃ দ্রঃ বায়ু, জল(পানি), খাদ্য বা ছোঁয়ায় এইচ.আই.ভি
ছড়ায় না ।]
*** এইচ.আই.ভি প্রতিরোধের উপায়ঃ
>> খুব সহজেই আমরা এই ঘাতক ব্যাধিকে
প্রতিরোধ করতে পারি । শুধু মাত্র চারটি নিয়ম মেনে
চললেই এইচ.আই.ভি কে প্রতিরোধ করা সম্ভব ।
(১) ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, অথবা প্রতিবার যৌন
মিলনে সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করা ।
(২) প্রতিবার নতুন সুই, সিরিঞ্জ অথবা জীবানুমুক্ত
সুই, সিরিঞ্জ ব্যবহার করা ।
(৩) রক্ত শরীরে গ্রহণের আগে রক্তে
এইচ.আই.ভি আছে কিনা পরীক্ষা করে নেয়া বা
গ্রহণ করা, চুল-দাঁড়ি কাটার সময়ও নতুন ব্লেড ব্যবহার
করা ।
(৪) এইচ.আই.ভি আক্রান্ত মা বাচ্চা নিতে চাইলে
অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া এবং পরামর্শ
নেয়ার পর বাচ্চা নেয়া ।
¤ তবে যৌন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে
দ্রুতগতিতে এইচ.আই.ভির জীবানু প্রবেশ করতে
পারে । তাই যত তারাতারি সম্ভব যৌন রোগের চিকিৎসা
করা উচিত ।
প্রঃ আসলে যৌন রোগ কি?
উঃ যৌন কাজের মাধ্যমে একজনের শরীর থেকে
অন্যজনের শরীরে যে রোগ ছড়ায় তাকে যৌন
রোগ বা যৌন বাহিত রোগ বলে । কিন্তু অন্যান্য
কারণেও এ রোগ হতে পারে ।
*** কয়েকটি যৌন রোগের লক্ষণঃ
¤ পুরুষদের ক্ষেত্রে-
(১) পুরুষের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে
পুজ ও রক্ত পড়া এবং প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া ও
আটকে আটকে প্রস্রাব হওয়া ।
(২) পুরুষ লিঙ্গের মাথায় গর্ত বা ঘাঁ হওয়া এবং লিঙ্গের
আশে-পাশে ক্ষত বা চুলকানি হওয়া ।
(৩) অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া ও ব্যাথা হওয়া ।
(৪) কুচকি ফুলে যাওয়া ও কুচকিতে বাগী হওয়া ।
¤ মেয়েদের ক্ষেত্রে-
(১) অতিরিক্ত স্রাব বা পুজ যুক্ত স্রাব বের হওয়া
অথবা গন্ধযুক্ত স্রাব বের হওয়া ।
(২) সহবাসে ব্যাথা বা তলপেটে ব্যাথা হওয়া ।
(৩) যৌনাঙ্গের আশে-পাশে ফুসকুড়ি, চুলকানি, ঘাঁ,
ক্ষত সৃষ্টি হওয়া ।
(৪) কুচকি ফুলে যাওয়া ও কুচকিতে বাগী হওয়া ।
*** যৌন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কি ক্ষতি হতে
পারে?
(১) যৌন ক্ষমতা নষ্ট হতে পারে ।
(২) সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা হতে পারে ।
(৩) বিকলাঙ্গ সন্তানের জন্ম দিতে পারে ।
(৪) পাগল হতে পারে ।
*** এ রোগের সঠিক চিকিৎসা কোথায় পাবেন ?
(১) যে কোন সরকারী হাসপাতাল (যৌন বিভাগে) ।
(২) যে কোন এন. জিও ক্লিনিকে ।
(৩) যৌন বিশেষজ্ঞঃ অথবা যে কোন
স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিলে ।
সূত্রঃ HIV AIDS Information Centre....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন